Skip to main content

বিষাদের সুরমাখা স্বরে

 


 বিষাদের সুরমাখা স্বরে 

রাত বেড়ে ওঠে চোখের পলকে
যেন  একটা ফড়িং অকস্মাৎ উড়ে চলে গেল,
যারা জানে না, তারা বলে
"মৃত‍্যুর কাছে নিঃস্ব সময়" ।
আর যারা চুপ থাকে
তারা দ্ব‍্যর্থহীনভাবে বিশ্বাস করে-
'মৃত্যুই কেবল অনন্তকালের দুয়ার খোলে দিতে পারে'! 

মর্তের সংসারে ঘর পাতা জীব
একমুটো ভালবাসা পেলে
বলে ওঠে 'এইতো জীবন' । 

সুখ-দুঃখে, আলো-ছায়া সঙ্গীতে, এত মুগ্ধতা। 

তবু জীবন ছুটে বলে শ্বাশত সত্যের কাছে,
মৌন নিবিড় পথে-
বিদায়ের পথ প্রান্তে জমে থাকে দীর্ঘ বিষাদ;

শরতের সুবাসমাখা রাত ফেলে
কে চায় যেতে ।
আলো-গন্ধভরা এ মোহের জীবন; 
মায়ার নোঙর ছিড়ে-
'নির্বাসনে' - কে চায় দীর্ঘ আয়ু!

    মোঃ ফজলে রাব্বী

Popular Posts

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও দার্শনিক ব্যাখ্যা: যুক্তি, দর্শন ও ইসলামের মিলনবিন্দু

  সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও দার্শনিক ব্যাখ্যা: যুক্তি, দর্শন ও ইসলামের মিলনবিন্দু ভূমিকা: সৌন্দর্যের আড়ালে লুকানো সত্তা প্রতিদিন আমরা দেখি—সূর্য নিখুঁত নিয়মে উদিত হয়, সন্ধ্যায় নীরবে অস্ত যায়। শীতের কুয়াশা শেষে আসে বসন্তের ফুলেল সৌরভ, তারপর বৃষ্টি ছুঁয়ে যায় পল্লীপ্রকৃতিকে। নদী তার নিজস্ব গতিপথ ধরে ছুটে চলে, চাঁদ নির্দিষ্ট নিয়মে রূপ বদলায়, নক্ষত্ররা রাতের আকাশে শোভা বাড়ায়— এ এক অপার সৌন্দর্যের, এক অসাধারণ শৃঙ্খলার জগৎ! কিন্তু এই সৌন্দর্য আর শৃঙ্খলা কি কেবল কাকতালীয়? এত নিখুঁত হিসাব, এত ছন্দময় নিয়ম—এসবের পেছনে কি কেউ নেই? কারো পরিকল্পনা নেই? প্রকৃতির প্রতি যতই গভীর দৃষ্টি দিই, ততই যেন মনে প্রশ্ন জাগে— কে এই অসীম কুশলী কারিগর? তাঁকে তো আমরা চোখে দেখি না, তাঁর কোনো গড়ন নেই, রঙ নেই, আকার নেই। তবে কি এই দেখার অক্ষমতাই আমাদের মনে সন্দেহ জাগায়? তাঁর অস্তিত্ব কি কেবল বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে, নাকি যুক্তির পথেও আমরা তাঁকে অনুভব করতে পারি? এই প্রশ্নগুলোই আজ আমাদের এই চিন্তার যাত্রার সূচনা করে। যেখানে আমরা সন্ধান করব সেই যুক্তির, যা কেবল বিশ্বাসে নয়, যুক্তিবাদী মনেও সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা ক...

অনার্স চতুর্থবর্ষের ভাইভা : আমার অভিজ্ঞতা

অঙ্কন : প্রসূন হালদার