Skip to main content

সিঙ্গেলদের কাছে 'ভ‍্যালেন্টাইন্স ডে' কেমন ছিল

 


ছবি : মিনহাজুর রহমান প্রান্ত

শীতের পাতা ঝরা দিন শেষে প্রকৃতিতে লাগলো বসন্তের ছোঁয়া । 'নতুন রঙের আল্পনা মানুষের মনকে রাঙিয়ে তুলেছে ভীষণভাবে । তার উপর  'ভ‍্যালেন্টাইন্স ডে' যেন সে রঙকে ছড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের হৃদয়ে । বসন্ত এবং ভালবাসার লাল-হলুদ রঙ ছুড়াছুড়িতে সারাদেশ আজ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।  

বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপনে তরুণ -তরুণীদেরকে একটু বেশিই উৎসাহি হতে দেখা যায়। বিশেষ করে যাদের প্রিয়মানুষ আছে তারা আজ এক্সট্রা ক্লাসের বাহানায় বাসা থেকে হবে। পার্কের আনাচে কানাচে, লিটনের ফ্লাটে অনেকেই ভালবাসা বিনিময়ে উন্মত্ত হয়ে উঠবেন, ম‍্যাচিং শাড়ি-পাঞ্জাবী পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কাপল পিক আপলোড করবেন। এছাড়াও আরো কত কিছু । 

সে তুলনায় ভালবাসা দিবস সিঙ্গেলদেরকে একটু বেশিই হতাশ করে তুলে । বিভিন্নভাবে অনেকেই এই হতাশা এবং প্রিয়জন না থাকার কষ্টটা প্রকাশ করেছেন। 

কবি নজরুল  বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া রাশিদুর রহমান স্মরণ নামের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক আইডি  থেকে চোদ্দ তারিখে এক্সট্রা ক্লাস না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সিঙ্গেল হওয়ায় এ নিয়ে তার কোনো 'লাভও নাই লসও নাই'।

ছবি: রাশিদুর রহমান স্মরণ এর ফেসবুক স্ট‍্যাটাস থেকে

এদিকে মিনহাজুর রহমান প্রান্ত নামের এক শিক্ষার্থীকে প্লাকার্ড ঝুলিয়ে গার্লফ্রেন্ড চাইতে দেখা যায় । তার গার্লফ্রেন্ড চাওয়ার এই অভিনব প্রক্রিয়াটি নেটিজেনদের মন কেড়েছে। ভিন্ন উপায়ে  গার্লফ্রেন্ড চাওয়ায় অনেকে এটাকে ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন। 

ছবি: মিনহাজুর রহমান প্রান্ত

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীকে হতাশয় ও ক্ষোভে পুতুলের সঙ্গে ভ‍্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করতে দেখা যায়।  শামিম উসমান তাকি নামের সে শিক্ষার্থী জানান  "জীবনের বাইশটা বসন্ত পেড়িয়ে গেলেও একটা প্রিয়মানুষ পাই নি । এই ছবি আপলোড করে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি। " 

ছবি: শামিম উসমান তাকি

লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ‍্যা বিভাগের জিহাদ সাহেব নামে খ‍্যাত এক শিক্ষার্থীকে হিন্দিতে স্টোরি দিতে দেখা যায়। সিঙ্গেল থাকতে থাকতে তিনি রীতিমত বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। ইমিডিয়েটলি তার একটা গার্লফ্রেন্ড প্রয়োজন বলে তিনি সবাইকে জানান। 

ছবি: আবু জিহাদের স্টোরি থেকে

সর্বোপরি বলা যায়, ভ‍্যালেন্টাইন্স ডে সবার জন‍্য সুখের না। কারো কারো জন‍্যে শোকেরও বটে ।  আমাদের আশেপাশে এমন অনেক সিঙ্গেল যুবক  রয়েছে, বসন্ত কিংবা ভ‍্যালেন্টাইন্স ডে তাদের জীবনে তেমন কিছু না। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে,  আমরা সবাই ভালোবাসা প্রত‍্যাশী । ফুল সুশোভিত সুন্দর বসন্তগুলো জীবন থেকে এভাবে হারিয়ে যাবে, এর কোনো মানে হয়? 

বসন্ত এবং ভালবাসার রঙ একসাথে মাখামাখি করতে নিঃসঙ্গ তরুণীরা সিঙ্গেল ছেলেদের খুঁজে নিতে আর বিলম্ব করবে না বলে আমরা আশাবাদী । 

সবার জীবনেই ভ‍্যালেন্টাইন্স আসুক, সবার বাগানেই ফুল ফুটুক। 


লেখা : এডমিন 

Popular Posts

অনার্স চতুর্থবর্ষের ভাইভা : আমার অভিজ্ঞতা

অঙ্কন : প্রসূন হালদার

যে আকুতি প্রস্থানের আগে

  বটতলা জামে মসজিদ, ত্রিশাল

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথ : উন্নয়ন সম্ভাবনার নানাদিক

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথ : উন্নয়ন সম্ভাবনার নানাদিক মোঃ ফজলে রাব্বী

সমস‍্যাটা আসলে কোথায়?

সমস‍্যাটা আসলে কোথায়?  একজন স্টুডেন্ট তার ক‍্যারিয়ার কোথায় গড়তে চায় সেটা কেন কেউ চ‍্যুজ করে দিবে? সে গভমেন্ট জব করবে, উদ‍্যোক্তা হবে, ব‍্যাবসা করবে নাকি অন‍্য কিছু করবে, সেটা তার ব‍্যক্তিগত বিষয় । সে তার সারাউন্ডিংস, অপচ‍্যুনিটি-কস্ট, প‍্যাশন, সামাজিক ব‍‍্যাপার-স‍্যাপার সবকিছু বিবেচনা করে সে সেটা ডিসাইড করবে ।  অথরিটি বা স্টেকহোল্ডার যারা, তাদের কাজ হচ্ছে তার জার্নিতে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা রাখা, তার লাইফের ডিসিশন নেওয়া না । দুইজন মানুষের মাছ খাওয়ার চাহিদা থাকতেই পারে,  এখন সে মাছ নিজে নদী থেকে ধরে নিয়ে আসবে নাকি বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসবে সেটা কিসের উপর নির্ভর করে আপনি জানেন না ।  আপনারা কেন এসব কথা বলছেন সবাই জানি। দেশে গভমেন্ট জব অপচ‍্যুনিটি পর্যাপ্ত না, সেজন‍্য স্টুডেন্টদের দায়ী করবেন? সবাইকে পড়াশুনা করার দরকার নাই,  গ্র‍্যাজুয়েট হওয়ার দরকার নাই, এগুলো দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা। কারো এলাকায় নদী/পুকুর নাই, নদী/পুকুরে ডুবে মরার রিস্ক নাই । তাই বলে সে সাতার শিখবে না?  বাংলাদেশে বসে ইউরোপের প্রেক্ষাপট কল্পনা করে কথা বললে হবে না। এর'চে বরং সমস‍্যা যেখানে, সে বিষয় নিয়ে কথা বলেন । পর্যাপ্ত জব অ